মহর্ষি মনোমোহন দত্ত ও তার ভাবদর্শন শীর্ষক সেমিনার অনুষ্ঠিত

অদ্বৈত মল্লবর্মণ স্মৃতি গ্রন্থাগার ও গবেষণা কেন্দ্রের আয়োজনে মহর্ষি মনোমোহন দত্ত ও তার ভাবদর্শন শীর্ষক এক সেমিনার গত শুক্রবার (৩১ জানুয়ারি) বিকাল ৪টায় অনুষ্ঠিত হয়েছে। ব্রাহ্মণবাড়িয়া সরকারি মহিলা কলেজ অডিটরিয়ামে অনুষ্ঠিত সেমিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন শিল্প সমালোচক রফিক সুলায়মান। প্রধান অতিথি ছিলেন ‘মহর্ষি মনোমোহন দত্ত আশ্রম’র অধ্যক্ষ সাধ্বী শংকরী দত্ত। বাংলাদেশ রাইটার্স ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক ড. শাহ মোহাম্মদ সানাউল হকের সঞ্চালনায় আলোচনায় অংশ নেন কবি ও কথাশিল্পী অ্যাডভোকেট মানিক রতন শর্মা, কবি আমির হোসেন, কবি ও সাংবাদিক রুদ্র মোহাম্মদ ইদ্রিস। এসময় বক্তব্য রাখেন, কবি আব্দুল মান্নান সরকার, কবি জয়দুল হোসেন, অধ্যাপক মানবর্দ্ধন পাল, অধ্যাপক মুসলেম উদ্দিন সাগর, অধ্যাপক এম এ হানিফ, কবি ও অধ্যাপক মহিবুর রহিম, কবি ও গীতিকার আ. রহিম, সাদমান শাহিদ, স্বরূপ রতন দত্ত, দেবাশীষ দাশ সোহেল, কসবা প্রেসক্লাব সভাপতি সোলেমান খান, শারমিন সুলতানা, নির্মল বর্মণ প্রমুখ। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য ও ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন অদ্বৈত মল্লবর্মণ স্মৃতি গ্রন্থাগার ও গবেষণা কেন্দ্রের সদস্য সচিব অ্যাডভোকেট হুমায়ুন কবীর। সেমিনারে বক্তারা বলেন, মহর্ষি মনোমোহন দত্তের ভাবদর্শন আমাদের লোকজ ঐতিহ্যের উত্তরাধিকার। তিনি একটি অসাম্প্রদায়িক সমাজব্যবস্থার চিন্তা করতেন। তার কর্ম ও সমাজদর্শন বর্তমান সময়ে অনেক বেশী প্রাসঙ্গিক। আমাদের দায়িত্ব হলো তাকে বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে দেওয়া। এর দায়ভার সমাজ এবং রাষ্ট্রকেও নিতে হবে। বক্তারা আরো বলেন, তার রচিত মলয়া সঙ্গীত বাংলা সাহিত্যের এক অমুল্য দলিল। অথচ তা নানা কারণে আজ উপেক্ষিত। তার এই বিশাল কর্মকে উপেক্ষা করে বাংলার লোকজ সাহিত্য সমৃদ্ধ হতে পারে না। কাজেই তার সৃষ্টিকে বিশ্ব দরবারে ছড়িয়ে দিতে হবে। প্রসঙ্গত, সেমিনারটির ফলে মহর্ষি মনোমোহন দত্ত ও তার মলয়া সঙ্গীত নিয়ে কিছু জনশ্রুতির সত্য উদঘাটন সম্ভব হয়েছে। এরফলে আগামীদিনে একটি পরিচ্ছন্ন মলয়া ইতিহাস জানা সহজ হবে বলে মনে করেন বক্তারা। আমারবাঙলা/এমআরইউ

from Amarbangla Feed https://ift.tt/NfG7A3m

Post a Comment

0 Comments