লেবানন-ইসরায়েল যুদ্ধবিরতির ঘোষণা আসছে?

লেবাননে ইসরায়েলি হামলায় প্রাণ হারাচ্ছেন নিরীহ মানুষ। দুই দেশের মধ্যকার এ যুদ্ধ বন্ধে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে মিত্র দেশগুলো। এবার সে পদক্ষেপ আলোর মুখ দেখতে চলেছে। লেবাননের সঙ্গে যুদ্ধবিরতিতে নীতিগতভাবে সম্মত হয়েছেন ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু। আগামী ৩৬ ঘণ্টার মধ্যে এ বিষয়ে ঘোষণা আসতে পারে। সোমবার (২৫ নভেম্বর) আল জাজিরার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে। লেবাননের উচ্চ পর্যায়ের চারটি সূত্রের বরাতে প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ও ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাখোঁ এ যুদ্ধবিরতির ঘোষণা দেবেন। চলমান পরিকল্পনার অধীনে আগামী ৩৬ ঘণ্টার মধ্যে এ বিষয়ে ঘোষণা আসতে পারে। এর আগে সংবাদমাধ্যম আশরাক আল-আওসাত জানায়, বাইডেন ও ম্যাখোঁ মঙ্গলবার (২৬ নভেম্বর) ৬০ দিনের যুদ্ধবিরতি ঘোষণা করবেন। হোয়াইট হাউস জানিয়েছে, তারা একটি যুদ্ধবিরতির খুব কাছাকাছি। তবে এ বিষয়ে তারা কোনো বিস্তারিত তথ্য দেয়নি। অন্যদিকে ফ্রান্সের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, আলোচনা এখনো চলমান রয়েছে। এর আগে রবিবার (২৪ নভেম্বর) টাইমস অব ইসরায়েলের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, লেবাননের প্রতিরোধ যোদ্ধা হিজবুল্লাহর সঙ্গে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হয়েছেন। মার্কিন প্রণীত এ যুদ্ধবিরতি কীভাবে জনগণের সামনে উপস্থাপন করা হবে তা নিয়ে তিনি কাজ শুরু করেছেন। রবিবার রাতে বিভিন্ন সূত্র জানিয়েছে, উচ্চপর্যায়ের বৈঠকের পর নেতানিয়াহু এ প্রস্তাবে রাজি হয়েছেন। ইসরায়েলি কর্মকর্তাদের বরাতে দেশটির সংবাদমাধ্যম কান ও ওয়াইনেট এবং হারেটজ জানিয়েছে, ওয়াশিংটন এবং বৈরুত উল্লেখ করেছে যে প্রস্তাবটির অনুমোদন চূড়ান্ত করা হয়নি। কিছু বিষয়ে এখনো পরিমার্জন করার সুযোগ রয়েছে। জেরুজালেম প্রস্তাবনাটি নীতিগতভাবে অনুমোদন করেছে। মূল নীতিগুলোকে অনুমোদন করেছে। সংবাদমাধ্যম ওয়াইনেট জানিয়েছে, বিষয়টি লেবাননকে জানানো হয়েছে। এর আগে গত সপ্তাহে হিজবুল্লাহর প্রধান নাইম কাসেম বলেন, তারা যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব পর্যালোচনা করেছে এবং এর প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে। বল এখন ইসরায়েলের কোর্টে রয়েছে। লেবাননের উপ-সংসদীয় স্পিকার এলিয়াস বউ সাআব জানিয়েছেন, যুদ্ধবিরতিতে এখন আর গুরুতর কোনো বাধা নেই। তবে ইসরায়েলের কট্টর ডানপন্থি জাতীয় নিরাপত্তা মন্ত্রী ইতামার বেন গভির যুদ্ধবিরতি চুক্তির বিরোধিতা করে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এটিকে ‘একটি গুরুতর ভুল’ বলে অভিহিত করেছেন। তিনি বলেছেন, এখন হিজবুল্লাহকে সামরিকভাবে পেছনের দিকে নিয়ে যাওয়া এবং ধ্বংস করার ‘একটি ঐতিহাসিক সুযোগ’। এর আগে মার্কিন বিশেষ দূত আমোস হোচস্টেইন গত সপ্তাহ বৈরুত জেরুজালেম ও লেবানন সফর করে সবপক্ষের সঙ্গে বৈঠক করেছেন। তিনি বলেছেন সম্ভাব্য চুক্তিটি নিয়ে এগিয়ে যাওয়ার এটিই তাদের শেষ সুযোগ। আমারবাঙলা/এমআরইউ

from Amarbangla Feed https://ift.tt/qtxAUB1

Post a Comment

0 Comments