গাজায় নিহত আরো ১২০, প্রাণহানি বেড়ে ৪৪ হাজার ২০০

ফিলিস্তিনের গাজায় ইসরায়েলি হামলায় গত ৪৮ ঘণ্টায় আরো ১২০ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। এতে করে অবরুদ্ধ উপত্যকাটিতে নিহতের মোট সংখ্যা ৪৪ হাজার ২০০ জনে পৌঁছে গেছে। গত বছরের অক্টোবর থেকে চলা হামলায় আহত হয়েছেন আরো লক্ষাধিক ফিলিস্তিনি। শনিবার (২৩ নভেম্বর) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে বার্তাসংস্থা আনাদোলু। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলের চলমান হামলায় কমপক্ষে আরো ১২০ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। মোট মৃতের সংখ্যা ৪৪ হাজার ছাড়িয়েছে। শনিবার গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় এ কথা জানিয়েছে। মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, বিরামহীন হামলায় আরো অন্তত এক লাখ চার হাজার ৪৭৩ জন ব্যক্তি আহত হয়েছেন। মন্ত্রণালয় বলেছে, অনেক মানুষ এখনো ধ্বংসস্তূপের নিচে এবং রাস্তায় আটকা পড়ে আছেন কারণ উদ্ধারকারীরা তাদের কাছে পৌঁছাতে পারছেন না। ফিলিস্তিনি স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষ মনে করছে, গাজা উপত্যকাজুড়ে ধ্বংস হওয়া বাড়ির ধ্বংসস্তূপের নিচে এখনো ১০ হাজারেরও বেশি লোক নিখোঁজ রয়েছেন। মূলত গাজায় অবিলম্বে যুদ্ধবিরতির দাবি জানিয়ে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের প্রস্তাব সত্ত্বেও ইসরায়েল অবরুদ্ধ এই ভূখণ্ডে তার নৃশংস আক্রমণ অব্যাহত রেখেছে। গত ৭ অক্টোবর হামাসের নজিরবিহীন আন্তঃসীমান্ত হামলার পর থেকে ইসরায়েল গাজা উপত্যকায় অবিরাম বিমান ও স্থল হামলা চালিয়ে যাচ্ছে। ইসরায়েলি এই হামলায় হাসপাতাল, স্কুল, শরণার্থী শিবির, মসজিদ, গির্জাসহ হাজার হাজার ভবন ক্ষতিগ্রস্ত বা ধ্বংস হয়ে গেছে। এ ছাড়া ইসরায়েলি আগ্রাসনের কারণে প্রায় ২০ লাখেরও বেশি বাসিন্দা তাদের বাড়িঘর ছাড়তে বাধ্য হয়েছেন। মূলত ইসরায়েলি আক্রমণ গাজাকে ধ্বংসস্তূপে পরিণত করেছে। জাতিসংঘের মতে, ইসরায়েলের বর্বর আক্রমণের কারণে গাজার প্রায় ৮৫ শতাংশ ফিলিস্তিনি বাস্তুচ্যুত হয়েছেন। আর খাদ্য, বিশুদ্ধ পানি এবং ওষুধের তীব্র সংকটের মধ্যে গাজার সকলেই এখন খাদ্য নিরাপত্তাহীন অবস্থার মধ্যে রয়েছেন। অবরুদ্ধ এই ভূখণ্ডের ৬০ শতাংশ অবকাঠামো ক্ষতিগ্রস্ত বা ধ্বংস হয়ে গেছে। ইসরায়েল ইতোমধ্যেই আন্তর্জাতিক বিচার আদালতে গণহত্যার অভিযোগে অভিযুক্ত হয়েছে। আইসিসি দেশটির প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছেন। এতে করে আইসিসির চুক্তিতে সই করা দেশে গেলেই গ্রেফতার হতে পারেন নেতানিয়াহু। আমারবাঙলা/এমআরইউ

from Amarbangla Feed https://ift.tt/yNOl6LA

Post a Comment

0 Comments