আন্তর্জাতিক ডেস্ক: ভারতে ১৮তম লোকসভা নির্বাচন শুরু হয়েছে। প্রথম দফায় দেশটির ১৭টি রাজ্য ও ৪টি কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের মোট ১০২টি আসনে ভোট পড়েছে প্রায় ৬০ শতাংশ। শুক্রবার (১৯ এপ্রিল) দিনব্যাপী ভোটগ্রহণ শেষে ভারতীয় সংবাদ মাধ্যম এনডিটিভির প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়। প্রতিবেদনে বলা হয়, তামিলনাড়ুর ৩৯, রাজস্থানের ১২, উত্তরপ্রদেশের ৮, মধ্যপ্রদেশের ৬, উত্তরাখণ্ডের ৫, অরুণাচল প্রদেশের ২, মেঘালয়ের ২, আন্দামান ও নিকোবর দ্বীপপুঞ্জের ১, মিজোরামের ১, নাগাল্যান্ডের১, পুদুচেরির ১, সিকিমের ১ ও লাক্ষাদ্বীপের ১ আসনে প্রথম দফার ভোট হয়েছে। আবার আসাম ও মহারাষ্ট্রে ৫টি করে, বিহারে ৪টি, পশ্চিমবঙ্গে ৩টি, মণিপুরে ২টি, ত্রিপুরা, জম্মু-কাশ্মীর ও ছত্তিশগড়ে একটি করে আসন প্রথম ধাপে অন্তর্ভুক্ত। এদিকে অন্ধ্রপ্রদেশ, ওড়িশা, সিকিম ও অরুণাচল প্রদেশে লোকসভা নির্বাচনের পাশাপাশি নতুন বিধানসভা নির্বাচনও অনুষ্ঠিত হয়। এর মধ্যে অরুণাচল প্রদেশ (৬০ আসন) ও সিকিম (৩২) প্রথম স্থানে রয়েছে। শুক্রবার স্থানীয় সময় বিকেল ৫টা পর্যন্ত সবগুলো আসন মিলিয়ে ভোট পড়েছে ৫৯ .৭ শতাংশ। এর মধ্যে তামিলনাড়ুতে ৬৩.২ শতাংশ, রাজস্থানে ৫০.৩ শতাংশ, উত্তর প্রদেশে ৫৭.৫ শতাংশ ও মধ্যপ্রদেশে ৬৩.৩ শতাংশ ভোট পড়েছে। সাধারণ নির্বাচনের পাশাপাশি রাজ্য নির্বাচনের জন্য সিকিম ও অরুণাচল প্রদেশে ভোট পড়েছে যথাক্রমে ৬৭.৫ ও ৬৪.৭ শতাংশ। এনডিটিভি জানায়, প্রথম ধাপের নির্বাচনে বেশকিছু জায়গায় সহিংসতা-বিশৃঙ্খলার খবর পাওয়া গেছে। এর মধ্যে পশ্চিমবঙ্গের কোচবিহারে তৃণমূল কংগ্রেস ও বিজেপি কর্মীরা সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন। সেখানে উভয় দলের কর্মী-সমর্থকদের বিরুদ্ধে সহিংসতায় জড়িয়ে পড়া, ভোটারদের ভয় দেখানো ও পোল এজেন্টদের ওপর হামলার অভিযোগও পাওয়া গেছে। তবে স্থানীয় পুলিশের দাবি, নির্বাচন ঘিরে কোনো সহিংসতার ঘটনা ঘটেনি। এছাড়া মণিপুরের বিষ্ণুপুর ভোটকেন্দ্রে গোলাগুলি ও বিস্ফোরণের খবর পাওয়া গেছে। এ দিন ইম্ফল জেলায় একটি ভোটকেন্দ্র ভাঙচুর করা হয়েছে। তামিলনাড়ুর সালেম জেলার ভোটকেন্দ্রে ২ জন বয়স্ক ব্যক্তি নিহত হয়েছেন বলেও খবর পাওয়া গেছে। উল্লেখ্য, এবার ভারতজুড়ে বিভিন্ন স্থানে ভোটগ্রহণ চলবে ৭টি তারিখে। প্রথম দফায় ১৯ এপ্রিল, এরপর ২৬ এপ্রিল, ৭ মে, ১৩ মে, ২০ মে, ২৫ মে’র পর ১ জুন শেষ দফায় ভোট হবে। ৪ জুন ফল ঘোষণা হবে। সময়ের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বেড়েছে ভারতের জনসংখ্যা। সঙ্গে সঙ্গে দীর্ঘ হয়েছে দেশটির নির্বাচনের সময়ও। যেমন- ৮০’র দশকে ভোটের সময় ছিল মাত্র ৪ দিন, তা ২০১৯ সালে দাঁড়ায় ৩৯ দিনে। ২০২৪ সালে এসে ভোট হচ্ছে পুরো ৪৪ দিনব্যাপী। এবি/এইচএন
from Amarbangla Feed https://ift.tt/J2y0ox8
0 Comments